ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধের মধ্যে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সাভারের আশুলিয়া থেকে শিশু ও নারীসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিউলি আক্তারের মৃত্যু হয়। দগ্ধদের মধ্যে আরও সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন
মো. সুমনের ৯৯ শতাংশ, শারমিনের ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, মনিরের ২০ শতাংশ, শামীমের ১৪ শতাংশ, মাহাদির ১০ শতাংশ, সোহেলের ১০ শতাংশ, সুমাইয়ার ৯ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ, জোহরা বেগমের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়।
নিহত শিউলি আক্তারের দেবর মো. জনি বলেন, আমার ভাবি-ভাই দুই ছেলে মাহাদি ও শামীম মাদরাসা বন্ধ থাকায় সাভারে ভাইয়ের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বেড়াতে আসেন। শিউলির দুই ছেলেসহ তাদের মামা, বড় ভাই সোহেল ও ছোট মামা সুমন ও দগ্ধ হয়েছেন।
গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের গুমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর দোতলা বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের দুই তলায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন পোশাক শ্রমিক সুমন। রাতে তার ভাই সোহেল পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ উপলক্ষে পিঠার আয়োজন করা হয়। পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে শিশু ও নারীসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হন।
এমআরএম/এমএস
