
অতএব, সাড়ে সাত মাস পর অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য–ব্যর্থতা বিচার করতে হবে আমাদের আর্থসামাজিক–রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে। অতীতে আমাদের নির্বাচিত কিংবা অনির্বাচিত সরকারগুলো কী করেছে, তা–ও মনে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ হলো বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, ৫৬ হাজার বর্গমাইলে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বাসের দ্বিতীয় উদাহরণ নেই। এখানে দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশ, শিক্ষার সুযোগ থেকে এখনো ৩০ শতাংশ মানুষ বঞ্চিত, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, বাড়ছে ধনী–গরিবের বৈষম্যও।
বলা প্রয়োজন, নির্বাচিত সরকার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে। তাদের পক্ষে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া সহজ। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে তা নেওয়া সম্ভব নয়। তদুপরি ইউনূস সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না।
এ অবস্থায় সরকারের প্রধান ও প্রথম কর্তব্য হয়ে পড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। দ্বিতীয় কর্তব্য হয় বিশৃঙ্খল অর্থনীতিকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসার পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণ। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ধ্বংসের কিনারে যাওয়া ব্যাংকিং খাতকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।