
৬০ হাজার বর্গফুটের আটতলাবিশিষ্ট বিক্রয়কেন্দ্রটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারুশিল্পের বিক্রয়কেন্দ্র বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আড়ংয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, উদ্বোধনের দিন প্রায় ২৬ হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থী এসেছেন বিক্রয়কেন্দ্রে। তবে ঈদ সামনে রেখে সকালেও ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যায়।
সরকারি চাকরিজীবী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি বরাবরই উঠে আসে আড়ংয়ের পণ্যে। এখানে কাপড়ের মান ভালো এবং পোশাক পরে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। তাই আড়ংয়ে কেনাকাটা করতে আসি। জায়গা বড় হওয়ায় হাঁটাহাঁটি করে পছন্দমতো পোশাক কেনা যাচ্ছে।’
ভবনজুড়ে দেখা মিলবে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্পের। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ ইতিহাস ঐতিহ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া আছে তামা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাচের ঝুলন্ত শিল্পকর্ম। ভবনটি এখন শুধু বিক্রয়কেন্দ্রই হয়ে ওঠেনি, তুলে ধরেছে মানুষের ঐতিহ্য ও সৃষ্টিশীলতা। প্রায় পাঁচ মাস সময় নিয়ে তৈরি করা হয় ভবনজুড়ে করা শিল্পকর্ম।
আরেক ক্রেতা রাইস আল দীন বলেন, ‘পণ্যের ভিন্নতা বেশি হওয়ায় এখানে এসেছি। ছোট ভাইকে পাঞ্জাবি কিনে দিলাম, ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারের বাকি সদস্যদের পছন্দের পোশাক কিনেছি।’