
প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে এই ফাঁদে ফেলতে পজিশনাল জ্ঞানও থাকতে হয়—কখন, কোথায়, কীভাবে দাঁড়ালে অন্তত সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের ব্যবধানে অফসাইড ফাঁদ কার্যকর হয়ে উঠবে, সেটা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। বার্সার ডিফেন্ডাররা যখন নিজেদের মধ্যে জায়গা কমিয়ে সামনে প্রেস করতে শুরু করেন, তখন প্রতিপক্ষ কোনোভাবে বল পেলেও অফসাইড ফাঁদ কেটে আক্রমণে ওঠা তাদের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে এ জন্য সমন্বয়টা খুব জরুরি।
তবে সেই সমন্বয়ে ভূমিকা আছে আক্রমণভাগেরও। ফ্লিকের শিষ্যরা রক্ষণ থেকে খুব দ্রুত আক্রমণে উঠতে পারেন বলেই প্রতিপক্ষ গুছিয়ে ওঠার সময় পায় না ও পাল্টা আক্রমণে ওঠার সময় ফাঁদে আটকে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এবার ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে বার্সার গোলসংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৬৭)। এত গোল সাক্ষ্য দিচ্ছে, বার্সা আক্রমণে ওঠার সময় দলটির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা ফাঁদটি পাতার জন্য যথেষ্ট সময়ও পাচ্ছেন।