মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে শাহীন আহমদ বলেন, ‘এমসি কলেজের দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনার দায় শুরু থেকেই ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ছাত্রদল নতুন বাংলাদেশে আবারও ট্যাগিংয়ের রাজনীতি সক্রিয় করে নির্যাতন ও সন্ত্রাস কায়েম করতে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে আর ত্রাসের রাজত্ব চলবে না উল্লেখ করে শাহীন আহমদ আরও বলেন, ট্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন-নিপীড়ন চলবে না। আধিপত্যের নামে নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১২টার দিকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার এমসি কলেজ শাখার সহতথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক। মিজানুর রহমানের দাবি, তাঁকে এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা রড দিয়ে মারধর করেছেন।
তবে কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইসমাঈল খান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে তৃতীয় একটি পক্ষ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। মূলত কলেজ ছাত্রাবাসে মিজানুর রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী ও একই কলেজের জাকিরুল ইসলাম নামের অন্য একজন শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছেন। এতে দুজনই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।