
সংস্কার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহল আমাদের বলে, তোমাদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে পারি, কিন্তু সংস্কারটা তোমাদের করতে হবে। আন্তর্জাতিক সমর্থন, সহযোগিতা এবং তাদের শুভেচ্ছা আমাদের জন্য মস্ত বড় সম্পদ। আমরা তাদের বহু রকমের স্বপ্নের কথা বলেছি। তারাও বলেছে, তোমরা করতে পারলে আমাদের সমস্যা নেই। কোনো কোনো শক্তিশালী দেশ বিশেষভাবে সহায়তা করতে চায়। তাই বলছি, সংস্কার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যর্থ হতে চাই না।’
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার সুযোগ পেয়েছিল, সেই কাঠামো থেকে যেন আমরা অন্য রূপে বেরিয়ে আসতে পারি। হাডুডু খেলার ক্ষেত্রে আইন মেনে চললেও দেশটাকে একটা তামাশায় পরিণত করা হয়েছিল। আইন বলে কিছু ছিল না, নিয়ম বলে কিছু ছিল না। জুলাই বিপ্লবে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁরা নির্দেশ দিয়ে গেছেন, আমরা যেন সেই আইনকানুন ফেলে দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত হই।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমরা যদি আমাদের ঐক্যকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে তা বংশপরম্পরায় চলতে থাকবে।’ মসৃণভাবে সংলাপ চালিয়ে নেওয়ার জন্য এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এক লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ছয় মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দল–মতনির্বিশেষে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তি সবাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের মধ্যে অনেক তর্কবিতর্ক আছে, তবে আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে এবং এটি বজায় থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’