
জহুরুল নিজেই বললেন তিন বছর আগের এক রাতের সেই ঘটনা। ২৮ বছর ধরে জহুরুল খাদেমের কাজ করেন এই মসজিদে। জিনের কথা অনেকে মুখেই শুনেছেন। তিনি অবশ্য আগে দেখেননি। সেদিন কোনো এক মুসল্লির সঙ্গে জিন দেখা নিয়ে তার বাদানুবাদ হয়েছিল। জিনদের সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু হয়তো বলে ছিলেন। তিনি মসজিদের চত্বরের ঘরটিতেই থাকেন। গভীর রাতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তাঁর মনে হচ্ছিল কেউ যেন খুব জোরে কিলঘুষি দিচ্ছে। চোখ মেলে দেখেন, পড়ে আছেন আমলীগোলা এলাকায় এক পথের পাশে।
আসলে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটে, যা ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিতে সত্য, কিন্তু বস্তুনিষ্ঠভাবে সত্যতা যাচাই করার সর্বজনীন উপায় থাকে না। প্রাচীন এই মসজিদ ঘিরে তেমনই অনেক ঘটনার গল্প চালু আছে। গল্প চিরকাল গল্পই, ডালপালা মেলে কালক্রমে তা রহস্য ঘনীভূত করে তোলে, হয়ে ওঠে কিংবদন্তি।