নেত্রকোনা যেতে স্টেশনে আসেন কলেজশিক্ষার্থী সিফাত ই জামান। তিনি বলেন, ‘ভোটার হতে কাগজপত্র নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ট্রেনে মাত্র ২০ টাকায় যেতে পারতাম, কিন্তু বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প পথে যেতে হবে।’
কর্মবিরতিতে থাকা রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ময়মনসিংহ কেওয়াটখালী শাখার অতিরিক্ত সম্পাদক মো. হানিফ বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো ট্রেন চলবে না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যদিও আমাদের এই আন্দোলন পূর্বঘোষিত। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেই কর্মে ফিরব।’
এদিকে জংশন স্টেশনটিতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান স্টেশন সুপারের সঙ্গে। সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট এস এম নাজমুল হক খান বলেন, আন্দোলনের কারণে ২৮ জোড়া ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসি বাসে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।