সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের এক দফা দাবিতে আবারও টানা ১১ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে রেলপথ, আমতলী মোড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, মহাখালী-গুলশান সড়ক এবং গুলশান লিংক রোডে সর্বাত্মক অবরোধ করা হবে।
আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পর ২৯ জানুয়ারি রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসে আমাদের এক ধরনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করার কথা জানায়। সেটি আবার আজ সংশোধন করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার সুযোগ নেই।
তারা আরও বলেন, এমনকি আমাদের দাবি যৌক্তিক নয় বলেও শিক্ষা উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারের এমন দোদুল্যমান অবস্থানে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। আমরা দাবি আদায় না করে ক্লাসে ফিরবো না।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
আরও পড়ুন
এদিকে, শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্র্যাফিক গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও গুলশান-মহাখালী সড়কে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে যোগ দেন আরও দুজন। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশেই বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।
৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গুলশান-১ চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন।
এএএইচ/এমকেআর