শেষ হলো বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল, নাচগানে মুগ্ধ পর্যটক


সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাঁকড়া মঞ্চে বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের রাখাইন, ম্রো, মারমা, ত্রিপুরা, চাকমা, পাংখোয়া সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন নৃত্য–গান উপভোগ করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়ে এই ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। বাংলাদেশে যত গোষ্ঠী আছে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। এই বহুত্ব জাতীয়তাবাদী চিন্তাটা আমরা বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে চাই। বিদেশিদের কাছে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই—বাংলাদেশ কেবল মুসলমানদের না, হিন্দুদের না, বৌদ্ধদের না, সবার।’

উৎসবে জাপান থেকে আসা একজন তরুণী বলেন, সমুদ্রতীরের এই ফেস্টিভ্যাল তিনি সুন্দরভাবে উপভোগ করছেন, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। পাহাড়ি তরুণীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নাচগান এবং সাদা পোশাকে বাউল পরিবেশনায় মুগ্ধ তিনি। গানের ভাষা না বুঝলেও তিনি বেশ উপভোগ করেছেন।

বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের আয়োজক মারমেইড ইকোট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের প্রসার এবং সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। ১১টি দেশের শতাধিক পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা দুই হাজার নারী-পুরুষ উৎসব উপভোগ করেছেন। সমুদ্রতীরে নিরিবিলি পরিবেশে উৎসবের ভেন্যু হওয়াতে সবাই আনন্দ-উল্লাস করার সুযোগ পেয়েছেন। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ তিন দিন দ্বিতীয় বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে।

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Daily Deals
Logo
Shopping cart