দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের একটি জনপ্রিয় টোস্ট বিস্কুটের ২৫০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৬০ টাকা। এর মধ্যে ৫ শতাংশ হারে (উপকরণের মূল্যে) ৪ টাকা ২০ পয়সা ভ্যাট রয়েছে। ভ্যাট হওয়ার কথা ৩ টাকা। কিন্তু আগে ৫ শতাংশ ভ্যাটে রেয়াত নেওয়া যেত না। ফলে ৪ টাকা ২০ পয়সা দিতে হতো। নতুন হার ১৫ শতাংশ হওয়ায় এখন রেয়াত নেওয়া যাবে। তবে মোট ভ্যাট দাঁড়াবে ৯ টাকা।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভ্যাট বাড়ানোর কারণে শিগগিরই দাম বাড়ানো হবে। তবে তা শুধু ভ্যাটের খরচে সীমিত থাকবে না। গ্যাসের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। সব মিলিয়ে ৬০ টাকার বিস্কুট ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে।
ঢাকার একটি জনপ্রিয় সিনেমা হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০০ টাকার টিকিটে এত দিন ভ্যাট আসত ৩০ টাকা। এখন আসবে ৪৫ টাকা। তারা ভ্যাট হিসাব করেই টিকিটের দাম নির্ধারণ করে। নির্ধারণের ক্ষেত্রে এমন একটি অঙ্ক ধরা হতে পারে যে ভাংতি টাকা নিয়ে ঝামেলায় পড়তে না হয়। এতে ভ্যাটের বাড়তি খরচের চেয়েও টিকিটের দাম কিছুটা বেশি পড়তে পারে।
শিল্প খাতেও এখন এলপিজি ব্যবহার করা হয়। এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) জানায়, ভ্যাট বাড়ানোয় শিল্পে ব্যবহৃত ১২ কেজির সিলিন্ডারে খরচ বাড়বে প্রায় ৪৩ টাকা। সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশ জারির পর বৃহস্পতিবার থেকে এই খরচ বেড়েছে। তবে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। খরচ বাড়ার বিষয়টি সমন্বয়ের জন্য তারা কমিশনে যাবে।