পানি লাগবে কারও? পানি, পানি—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মধে৵ পানি বিতরণ করছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ)। এর কিছুক্ষণ পর আজমপুরের সড়কে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে ছিল। পাশেই ছিল পানির কেস (কয়েকটি পানির বোতলের প্যাকেট)। মুগ্ধ হত্যার বিচার চেয়ে তাঁর পরিবার গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুগ্ধর ভাই মীর মাহমুদুর রহমান (দীপ্ত) এবং মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)। এর মধ্যে মুগ্ধের যমজ ভাই স্নিগ্ধ। আর দীপ্ত মুগ্ধর বড় ভাই।
মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান বলেন, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধর মৃত্যু হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁরা এটা নিশ্চিত হয়েছেন। এখন কোন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মুগ্ধর মৃত্যু হয়েছে, এই হত্যার ঘটনায় কে বা কারা নির্দেশ দিয়েছেন, এগুলো বের করার দায়িত্ব সরকারের। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।