ভারতে সাজা ভোগ করে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি


যশোর: সীমান্তের অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে যাওয়া ১২ জন বাংলাদেশিকে সাজা শেষে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।  


শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, দেশে ফেরত আসাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পোর্ট থানা পুলিশ জানায়।


ইমিগ্রেশন ও বেনাপোল পোর্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ১২ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সীমান্তের অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তাদেরকে পাঠানো হয় দমদম সেন্ট্রাল জেলে।


সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোলকাতাস্থ বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ওই ১২ জনের দেশে ফেরত আসার জন্যে বিশেষ ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। যার ভিত্তিতে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।  


শুক্রবার সন্ধ্যার পর ওই ১২ বাংলাদেশিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসময় বিজিবি-বিএসএফ এবং দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় কার্যাদি শেষে দেশে ফেরত আসাদের শুক্রবার রাতেই বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ইমিগ্রেশন পুলিশের এই কর্মকর্তা।  


যারা দেশে ফেরত এসেছেন তারা হলেন – সাতক্ষীরার নলকুড়ার আশিকুর রহমান (২৫), গাজীপুরের পূর্ব আগ্রাপুর বুনিয়াপাড়ার সুমন সরকার (৩০), নরসিংদীর কাঁসারালকান্দির ওমর ফারুক (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের বনিপুরের মিজান শেখ (২৮), খুলনার কাশেমনগরের রিয়াজুল ইসলাম (২৫), মাদারীপুরের রাজৈর থানার ডাকছিন চান্দাপুটি গ্রামের বেলাল মোল্লা (২৮), নড়াইলের গোবরা গ্রামের রেজিনা খাতুন (২৫) ও বাগাডাঙ্গা গ্রামের সাগারি ফকির (২৮), বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কালিবাড়ি গ্রামের রবিউল হাওলাদার (২৫) ও মোকসেদ হাওলাদার (৩০), সাতক্ষীরার বাবুলিয়া গ্রামের রুবেল গাজী (২৫) এবং আগরদিয়া গ্রামের খালিদ হোসেন (২৫)।


ফেরত আসাদের মধ্যে সুমন সরকার, ওমর ফারুক ও রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে সুমন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলার সংখ্যা চারটি। তিনি গাজীপুরের টঙ্গী থানার আগ্রাপুর বুনিয়াপাড়ার রমজান আলী সরকারের ছেলে।  


ইমিগ্রেশন পরিদর্শক জানিয়েছেন, সুমনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানা, ঢাকার হাতিরঝিল থানা, সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানা এবং গাজীপুর টঙ্গী থানায় মামলা রয়েছে।  


এছাড়া, নরসিংদীর রায়পুর থানার কাঁসারালকান্দি গ্রামের আইনুল হক খন্দকারের ছেলে ওমর ফারুক  ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশেমনগরের মুসলিম সরদারের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতোয়ালি থানায় পৃথক মামলা রয়েছে।


বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫

এসএএইচ



Tags:

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Daily Deals
Logo
Shopping cart