নেদারল্যান্ডসে ক্লাসে মোবাইল নিষিদ্ধ, যে যে সুফল পাচ্ছে দেশটি


পেটারের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক ফ্রিক ওপট এইন্ডেও একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ক্লাস আগের চেয়ে অনেক শান্ত এবং তর্কও কম হয়। মুঠোফোন এক নিয়মিত সমস্যা ছিল। সবাই সেটি লকারে রেখে আসে না। তাই দরজায় দাঁড়িয়ে তল্লাশি চালিয়ে বলতে হয়, এটা দূরে রেখে আসো। অনেকে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে চায় এবং নানা যুক্তি দেয়। আর তাতে ক্লাসের আট মিনিট নষ্ট হয়।

আমস্টারডামের সিগনাস গিমনাজিউম হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের শুরুর দিকের স্কুলগুলোর একটি, যেখানে মুঠোফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডাচ সরকার স্কুলে মুঠোফোন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল, তবে স্কুলগুলো তা মানতে আইনত বাধ্য নয়।

স্পেন ও ব্রিটেনে পরিচালিত গবেষণা বলছে, মুঠোফোন নিষেধাজ্ঞা ক্লাসরুমে মনোযোগ বাড়ায়। এটা দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য বলে মনে করেন মুঠোফোন নিষেধাজ্ঞার নীতিমালা তৈরিতে সহায়তাকারী শ্যেপ ফন ডেয়ার প্লুখ। তিনি বলেন, ‘টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সেলফোন অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তৈরি হয়েছে। এ শিল্পে মনোযোগই সব। এর অর্থ হচ্ছে বড় টেক ফার্ম ও তাদের অঢেল সম্পদের বিপরীতে একজন শিক্ষক। সবকিছু মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এবং তা ধরে রাখতে অত্যন্ত বুদ্ধি খাটিয়ে তৈরি করা। ফলে এটা অসম যুদ্ধ।’

তবে বিষয়টি শুধু মনোযোগ বিঘ্নের নয়, এর সামাজিক দিকও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সরাসরি কথা বলায় উৎসাহী করা হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা বিরতির সময়ও বলবৎ থাকে।

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Daily Deals
Logo
Shopping cart