পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০০৯ সালে চালু হয়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালে করোনার পর থেকে তা আর হয়নি। বন্ধ হয়েছিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। কিন্তু মাঝে ২০২২ সালে হঠাৎই আবার এই বৃত্তি পরীক্ষা চালু হয়। কিন্তু এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। গত বছর তা হয়নি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এখনো তা বাতিল করেনি। প্রতিবছর বৃত্তির টাকাও বরাদ্দ রাখা হয়।
তবে পরামর্শক কমিটি প্রাথমিকে পাবলিক পরীক্ষার মতো কোনো পরীক্ষা যাতে চালু করা না হয়, সেই সুপারিশ করার কথা ভাবছে। তবে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক ও প্রান্তিক মূল্যায়ন (প্রথম, দ্বিতীয় ও বার্ষিক পরীক্ষা) রাখার পক্ষে তারা। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের (এনএসএ) আদলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করবে কমিটি।
কমিটির পর্যবেক্ষণে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন হয়। দাবিদাওয়ার বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার। শিক্ষকেরা যাতে ঠিকমতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে কমিটি মনে করে, শিক্ষকদের বেতনকাঠামো উন্নত হওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে দেশের বাস্তব পরিস্থিতিও বিবেচনা রাখতে হবে।
আর দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ হিসেবে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতনকাঠামো ও আলাদাভাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলবে কমিটি। তারা বলছে, শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের পথরেখা থাকতে হবে। কারণ, বর্তমানে দেখা যায়, অনেক শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসেবেই সারা জীবন চাকরি করে অবসরে যান। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণব্যবস্থা বাস্তবসম্মত করা ও শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করবে কমিটি।