জিম্মিদের না ছাড়লে গাজায় ফের হামলার হুমকি নেতানিয়াহুর


তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে আগামী শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয় হামাসের পক্ষ থেকে।

এবার তার কড়া জবাব দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন, হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় তীব্র অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে।

আগে কথা ছিল শনিবার তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। নেতানিয়াহু এবার সব বন্দির মুক্তির কথা বলছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স হামাসের ওপর চরম হামলা চালাবে। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।

নেতানিয়াহুর এই বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে গাজা সীমান্তে তারা এরই মধ্যে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই অভিযান শুরু হবে।

এদিকে গাজার অবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তূপ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজাকে নতুন করে তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। প্রথম তিন বছরে খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। গাজায় ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। শুধু নতুন করে বাড়ি বানাতেই খরচ হবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে তৈরি করতে খরচ হবে আরও প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে আড়াই বিলিয়ন।

এদিকে গাজার বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা। হোয়াইট হাউজে এই বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্পের অভিমত, গাজা স্ট্রিপকে খালি করে দেওয়া হোক। যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকার দায়িত্ব নেবে এবং জায়গাটিকে একটি পর্যটকস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

অন্যদিকে গাজার বাসিন্দাদের জর্ডান অথবা মিশরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই জর্ডান ও মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কোনোভাবেই গাজার বাসিন্দাদের জর্ডানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে না। বরং গাজার মানুষ যাতে আবার শান্তিতে সেখানেই বসবাস করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কোনোভাবেই তাদের উৎখাত করা যাবে না। দুই-রাষ্ট্রের তত্ত্বের ভিত্তিতে গাজা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে এসেছেন, কোনোভাবেই জর্ডানে গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Tags:

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Daily Deals
Logo
Shopping cart