মোহামেডান উড়ছিল। মাঠে নেমেছে আর জয়ের কেতন উড়িয়ে ঘরে ফিরেছে। টানা ৮ জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানও নিশ্চিত করেছিল সাদা-কালোরা।
শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ নবাগত ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স সঙ্গে থাকায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করার স্বপ্নে বিভোর ছিলো মোহামেডানের সমর্থকরা। কিন্তু পারেনি, সর্বনাশটা করে দিয়েছে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখানো ক্লাবটি।
শুক্রবার কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে উড়ন্ত মোহামেডানের ডানাই কেটে দিলো পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা দলটি। মোহামেডানকে তারা হারালো ১-০ গোলে। মোহামেডানের এই হারে কোনো দলই আর অপরাজিত থাকলো না।
শুক্রবারের এই ফলাফল মোহামেডান সমর্থকদের ফিরিয়ে নিলো ৩৫ বছর আগের এক স্মৃতিতে। ওই সময় টানা ৭৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা মোহামেডানকে হারিয়েছিল এই ইয়ংমেন্স ক্লাব। দিনটি ছিল ১৯৯০ সালের ১৬ মার্চ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইয়ংমেন্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে থেমেছিল মোহামেডানের অপরাজিত যাত্রা।
ফুটবল ম্যাচে যেকোনো কিছুই হতে পারে। জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। তবে মোহামেডান সমর্থকদের এই হারটি মানতে কষ্টই হবে। বসুন্ধরা কিংস-আবাহনী যা পারেনি তা পারলো মিডিওকোর দল ইয়ংমেন্স।
এ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারলে শিরোপার পথে নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করতে পারতো মোহামেডানের; কিন্তু পঁচা শামুকে পা কাটলো আলফাজ আহমেদের দলের। তাদের এই অপ্রত্যাশিত হারে দূরত্ব কমলো পেছনে থাকা দলগুলোর সাথে।
মোহামেডানের সাথে কঠিন লড়াই করেছে ইয়ংমেন্স। ৬৫ মিনিট পর্যন্ত গোল করতে না পারায় মোহামেডান সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়ে প্রথম পয়েন্ট হারানোর। সেই শঙ্কটা যে একদম হারের বাস্তবে রূপ নেবে তা হয়তো ভাবেনি তারা। শেষ ম্যাচে হেরেই বসলো এখনো শিরোপা জিততে না পারা দলটি।
৬৬ মিনিটে ইয়ংমেন্স ক্লাবের উজবেক মিডফিল্ডার সারদর জাহোনভ গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। মোহামেডান আর ফিরতে পারেনি ম্যাচে।
শীর্ষে থেকে প্রথম পর্ব শেষে মোহামেডানের পয়েন্ট থাকলো আগের মতোই ২৪। দুইয়ে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ১৯। শনিবার ব্রাদার্সকে হারাতে পারলে মোহামেডানের তাদের পার্থক্য থাকবে ২ পয়েন্ট। আবার জমে যাবে প্রিমিয়ার লিগ। ইয়ংমেন্স ক্লাবের এটি তৃতীয় জয়। ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তারা ৭ নম্বরে।
আরআই/এমএইচ/এএসএম