রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে সাতজন আহতের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহ-সমন্বয়ক তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা।
তিনি বলেন, গতকাল সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার আমাদের ওপর হামলা হয়। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা তাদের বাইরে কোনো ভিন্নমত নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগের জায়গায় তারা তাদের রিপ্লেস করতে চায় কি না সেটা পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম কারও বাপের না। যদি সেটা মনে করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনারাও টিকতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের পেছনে দাঁড়িয়ে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। আমরা নাকি সেখানে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) হামলা করতে গিয়েছি। গতকাল আমরা হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিংয়ের পর আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে অনেকভাবে যোগাযোগ করে। আমাদের বলা হয়, আমরা যাতে মামলা না করি। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিংয়ের জন্য বসতে বলা হয়। আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজে বসতে চেয়েছি। পরে তারা জানায় রাত ১১টার সময় বোরহানউদ্দিন কলেজে আসবে। তারা রাত ১২টার দিকে আসে। ওই বৈঠকে আসার কথা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। কিন্তু এসেছিলেন আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ, স্বাস্থ্য কমিটির তরিকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির মুন্না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ হই এবং সেই বৈঠক হয়নি। আমরা এখন আইনিভাবে লড়াই করে যাবো।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা অর্ণব হোসেন বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার চাইবো না। আমরা থানায় গিয়ে মামলা করবো। থানা যদি মামলা না নেয় তাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
মারামারির ঘটনায় আহত মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে আমার দাড়িতে আঘাত করেছে এবং আমাকে জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে।
মারামারিতে আহত আন্তা মীম, হাসিব মল্লিক, আল-আমীন তালুকদারসহ অনেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এনএস/বিএ/জিকেএস