কিশোরগঞ্জ: কটিয়াদী উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম সহ ৫ পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ মামলা হলেও মঙ্গলবার (২১ জনিুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়।
কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত ইয়াসিন মিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার।
মামলার অন্যান্য মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কটিয়াদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন, উপ- পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা মিয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি রাতে জেলার কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেনসহ চারজন পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইয়াসিন মিয়াকে আটক করে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, বুটজুতা পরিহিত পা দিয়ে গোপনাঙ্গে, বুকে, পাঁজরে লাথি মারে ও বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেন পুলিশ সদস্যরা।
ইয়াসিন মিয়াকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ঘটনার পরপরই নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের মারধরেই ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযান পরিচালনাকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কটিয়াদী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের হারুন জানান, নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) কটিয়াদী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঘটনাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৫
এমজে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।