বিবিএসের মাধ্যমে পরিচালিত ওই জরিপের মতামতগুলো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনেও উল্লেখ করেছে। এতে এ বিষয়ে সরকারের ইচ্ছার ইঙ্গিত রয়েছে, এমন আলোচনা আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এদিকে এই জরিপের পদ্ধতি ব্যাখ্য করে বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে নমুনায়নের মাধ্যমে ৪৬ হাজার ৮০টি সাধারণ খানা (পরিবার বা যাঁরা এক চুলায় রান্না করেন) থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি খানা থেকে ১৮ বছর বা তাঁর বেশি বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ‘কিশ গ্রিড সিলেকশন’ পদ্ধতিতে একজন নির্বাচিত উত্তরদাতার কাছ থেকে নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়, অর্থাৎ ৪৬ হাজার ৮০ জন মানুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে জনগণের মতামত জানার লক্ষ্যে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। কারণ, গণতন্ত্রে জনমত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বিবিএসের এই জরিপ কতটা মানসম্পন্ন, নির্ভরযোগ্য—সে সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময়ে তাদের ডেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অর্থাৎ কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। সে রকম হলে বিপজ্জনক ব্যাপার। তবে বিষয়টি রাজনৈতিক, পরিসংখ্যানের বিষয় নয়। আর যদি বিবিএসের জরিপে ফলাফল সঠিক হয়, তাহলে আমি বলব, এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা আছে। কেন সংসদ নির্বাচন আগে হওয়া উচিত, তারা জনগণকে বোঝাতে পারেনি।’